এক বর্ষায় আমার খুব ইচ্ছে হবে বিছনাকান্দি কিংবা রাতারগুল যেতে। ঝুম বৃষ্টিতে তোমার হাত ধরে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে। পিয়াইন কিংবা ডাউকির জলে পা ভেজাতে। অন্যকোন বর্ষায় যৌথযাত্রায় বান্দরবান যেতে। কটেজের বারান্দায় বসে সারারাত জোছনা দেখতে আর প্রিয়সব গান শুনতে। আলতো ভেজা পাহাড়ের গন্ধ মেখে যতসব পাগলামি করতে। আরেক দুপুরে ইচ্ছে হবে রাঙামাটি যেতে।
জলের ভেতর তোমার চোখ দিয়েরাজবাড়ি দেখতে। শুভলংয়ের সবুজারণ্যে বিকেল কাটাতে। হ্রদের নীল নীল জল ছুঁয়ে আপ্লুত হতে।প্ল্যান থাকবে শ্রাবণের বৃষ্টিস্নাত কোন দিনে সাজেক যেতে। আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে মেঘেদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে। শরত এলে দিয়াবাড়ির প্রান্তরে তোমার আঙুল ছুয়ে ঘুরে বেড়াতে। কাশফুলের শুভ্রতায় শরীর জড়াতে। হেমন্তের জোছনা রাতে গ্রামের মেঠোপথ ধরে রাতভর হাঁটতে। জোনাকির মিছিল, নক্ষত্রের সভা,কাঁচপোকাদের উল্লাসে তোমাকে মুঠোয় পুরে রাখতে।
শীতের সকালে পাবনা বা সিরাজগঞ্জে সরিষাক্ষেতে তোমাকে হারিয়ে ফেলতে,তারপর পাগলের মতো খুঁজতে। পৌষের মিষ্টি ভোরে প্রবাল দ্বীপে সেন্টমার্টিনে সূর্যোদয় দেখতে। সেখানে আমাদের গোধূলি স্নান পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। সন্ধ্যা নেমে গেলে নীল সমুদ্রে রুপালী জোছনারা মুখোমুখি হবে। তোমার গালে চুমু এঁকে বঙ্গোপসাগরের লোনা জলে পা ভেজাতে খুব ইচ্ছে হবে।
ইচ্ছে হবে হিমছড়ির ধারে ঝর্ণার জলে শরীর ভিজিয়ে ইনানীর বালুকাবেলায় বহুদূর হেঁটে যেতে। আমার ভীষণ ইচ্ছে করবে। ফাগুন দুপুর সামনে রেখে তোমার বুকের কাছে থাকতে মন চাইবে। পৌষী সন্ধ্যায় ফুলের হাটে তোমার হাত ধরে হাঁটার আকাঙ্ক্ষা জন্মাবে। নাট্যশালায় নাটক শেষে তোমাতে বাহু জড়িয়ে ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করবে। একদিন তোমাকে আমার এভাবেই পেতে ইচ্ছে করবে।
Written by -আকেল হায়দার