করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, এমন সন্দেহ হলে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি মেনে চলুন, এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিয়য় গুলো বিশেষ ভাবে মেনে চলা জরুরি –
১. ঘরের বিভিন্ন সুইচ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণত হাতের আঙ্গুলের ব্যবহার করা হয়। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে এসে যদি এই সুইচ স্পর্শ করা হয় তবে হাত ধোয়া ও না ধোয়া সমান হয়ে যায়। এ বিষয়ে সচেতন হউন।
২. দরজা-জানালার হাতলকে জীবাণুনাশক তরলের সাহায্যে পরিষ্কার করতে হবে। বাসার মেইন দরজা টিস্যু হাতে নিয়ে খুলুন এবং বাকী সব দরজা কাঁধের সাহায্যে খোলা ও বন্ধ করার অভ্যাস করুন অথবা টিস্যু ব্যবহার করে সাবধানে খুলুন ও সবশেষে টিস্যুটি ঢাকনাওয়ালা ঝুড়িতে ফেলুন।
৩. টয়লেট ব্যবহারের পরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। দিনে অন্ততঃ ৮/১০ বার সাবান দিয়ে অন্তঃত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধৌত করুন।
৪. কোনো খাবারই আধা সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। যে খাবারই খান ভালোভাবে সিদ্ধ ও রান্না করা অবস্থাতে খেতে হবে। কখোনই ডিম আধাসিদ্ধ বা অল্প আঁচে ভেজে খাবেন না।
৫. এ সময়ে ফিল্টারের পানি পান না করা হবে সবচেয়ে ভালো। পানি আধা ঘণ্টা কিংবা চল্লিশ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে তবেই পান করুন।
৬. পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেতে বসলেও দূরত্ব বজায় রাখুন।
৭. জরুরি কোনো কাজে যদি কখনও বাইরে বের হতেই হয়, তবে হাতকে সামলে রাখুন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সিঁড়ি ব্যবহারের সময় অবচেতনভাবে সিঁড়ির রেলিংয়ে হাত চলে যায়। এ ব্যপারে বেশি সচেতন হতে হবে।
৮. বাহির থেকে বাসায় আনা কোনো প্যাকেট ২৪ ঘণ্টার জন্য আলাদা একটি স্থানে রেখে দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পার হলে এরপর প্যাকেটটি খুলে উপরের প্যাকেটের অংশ সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিয়ে হাত সাবানের সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৯. সবচেয়ে বড় কথা হলো হাঁচি কাশি দেবার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন এবং যেখানে সেখানে কখনোই থুতু ফেলবেন না।
= আল্লাহর কাছে তওবা ও সুস্থ থাকার জন্য বেশী বেশী দোয়া করুন =